বয়ে চলা নদী,ধান কিংবা সরষে ফুলের হলুদে ভরে উঠা বিল, সমীরণে দুলে উঠা সবুজ পাতা,সুবহে সাদিকের আযান কিংবা গোধূলী বেলায় পাখির কিচিরমিচির আমাদের ভালোবাসার উৎস। আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভালোবাসি সবাইকে। স্বপ্নাতুর সমাজ যখন শঙ্কিত,আকাশ তার ঢাকা কোনো অশুভের ছায়ায়, সম্মুখে ছুটে চলা আর বিভ্রান্তির দ্বন্দ্ব যখন চলমান, বুনন হয় কিছু স্বপ্নের বীজ, সূচিত হয় নতুন ধারার। বিকাশের সে পথে মো. রাকিবুল হাসানের হাত ধরে ২ রা জানুয়ারী ২০০৯ জন্ম নেয় লোটাস-বাড চ্যারিটি ফোরাম। লোটাস-বাড স্বপ্ন দেখে একটি দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ, সত্যের আলোয় প্রস্ফুটিত একটি জনপদ, কুসংস্কারের শিকল ভেঙ্গে উদিত হওয়া নতুন সূর্যের মতো,যার আলোয় উদ্ভাসিত হবে দিগন্ত।
এ সংস্থাটি একাধারে ছাত্র, কর্মজীবী, কিশোর-যুবা ও বৃদ্ধের মজলিশ। যা সবার মাঝে সৌহার্দ্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করে আপামর সমাজ ব্যবস্থার কাঠামো পরিবর্তন করতে বদ্ধপরিকর। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ, ছাত্রদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পানে এগিয়ে নেওয়া, সর্বোপরি সামাজিক সুরক্ষার বন্দোবস্ত করার এক ইস্পাত-কঠিন মনোবল নিয়ে কাজ করছে।ে।
সমাজের প্রান্তিক সারির মানুষের জীবিকা আহরণের জন্য “সামর্থ্য” নামে একটি দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প চালিয়ে থাকে। এই প্রকল্পের অধীনে ক্ষুদ্র ব্যবসা, গৃহপালিত পশুপালন ও কৃষি সরঞ্জামসহ অন্যান্য কাজের ব্যবস্থা করে থাকে।
এই মূল্যবোধের পঠনপাঠন যে ভূমিকা রাখে তা একটি সমাজ বা পরিবেশের নানাবিধ পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেয়। আদিম যুগ থেকে আধুনিক যুগের যে বিকাশ সেখানে সামাজিক জীব হিসেবে বেঁচে থাকতে মূল্যবোধ প্রধান মাধ্যম হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছে।